ধাড়ি নূড়ার গত ১৪ দিনের আমলনামা কারো কাছে থাকলে ক্রমান্বয়ে এখানে দিয়েন।
ধাড়ি নূড়ার গত ১৪ দিনের আমলনামা কারো কাছে থাকলে ক্রমান্বয়ে এখানে দিয়েন।
ধাড়ি নূড়ার গত ১৪ দিনের আমলনামা কারো কাছে থাকলে ক্রমান্বয়ে এখানে দিয়েন। Part -1
আমি বারবার যখন বলি এই আন্দোলন CIA ব্যাকড, তখন কথাগুলো আমার একার, ব্যাপারটা এমন না। আমাকে যারা তথ্য সরবরাহ করেন, আমাকে যারা ব্রিফ করেন তাদেরই দেয়া তথ্য আর উপাত্তে কথা বলি।
মুশকিল হচ্ছে আমার সোর্সরা মঞ্চে আসতে পারেন না। প্রকাশ্যে বলতে পারেন না।
ডক্টর কামাল হোসেনের কন্যা সারা হোসেনকে মঞ্চে হাজির দেখে আমার সোর্সদের একজন আমাকে ফোন দিলেন।
বললেন- ‘মিলেছে?’
আমি হাসি। আমি আমার সূত্রদের কথা ডকুমেন্ট ছাড়া আমলে নেইনি কখনো। তাই অবিশ্বাসের প্রশ্নও আসেনা।
এই খেলাতে আরেকটা অংশ এখনো অনুপস্থিত। তারাও আসবে। আমাদের চূড়ান্ত খেলা তখন হবে।
আমেরিকার সাথে খেলার নিয়ম-কানুনও নেত্রী জানেন। সুতরাং ভয় নেই।
শুধু খারাপ লাগছে কোমলমতিদের কথা ভেবে। এক সময় এরা মাথা চাপড়াবে।
আমাদের বাধ্য হয়ে বলতে হবে-
‘বলেছিলাম, বিশ্বাস করো নাই’
ধাড়ি নূড়ার গত ১৪ দিনের আমলনামা কারো কাছে থাকলে ক্রমান্বয়ে এখানে দিয়েন। Part -2
গতকাল রাতে চেন্নাইতে একটা লম্বা আড্ডা হলো পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা গোটা পাঁচেক বাঙালি তরুনের সাথে।
স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা বাংলাদেশের গল্প শুনলেন সব। আমিও জানতে চাইলাম পশ্চিম বঙ্গের বামগুলো বাংলাদেশ নিয়ে এত লাফাচ্ছে কেন?
শেখ হাসিনা না থাকলে এদের কি হবে এরা জানে? এরা কি বাংলাদেশের বামগুলোর থেকেও বেশি রাম ভোদাই?
অতনুদা বলে উঠলেন, ‘ওদের কথা আর বলবেন না বাড়া। সালা হাবড়াচো*র দল’
হাবড়াচো* কি জিনিস আজকে জিজ্ঞেস করে নিবো।
ধাড়ি নূড়ার গত ১৪ দিনের আমলনামা কারো কাছে থাকলে ক্রমান্বয়ে এখানে দিয়েন। Part -3
বারবার প্রশ্ন করেছিলাম, অবাক হয়েছিলাম যে আপীলেট ডিভিশনের রায় বাকি থাকতে কেন হাইকোর্টের রায় শুনে এত লাফালাফি? একদফা দাবির পর সব পরিষ্কার। নাহিদ, আসিফ,আখতার এরা প্রত্যেকেই ছিলো ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী। তিনজনই কমিটিতে ছিলো। পরে নিজেরাই গত বছর অক্টোবরে ছাত্র শক্তি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। ওদের লক্ষ্য শুরুতেই জানতো এরা। মাঝখান থেকে বলি হয়েছে কিছু অরাজনৈতিক শিক্ষার্থী। আজকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাঠে নামবে। বুদ্ধি থাকলে ঘরে থাইকো ছোট ভাইয়েরা।
ধাড়ি নূড়ার গত ১৪ দিনের আমলনামা কারো কাছে থাকলে ক্রমান্বয়ে এখানে দিয়েন। Part -4
চশমা পরেছিলাম সব অস্পষ্ট দেখা শুরু করেছিলাম বলে। ভেবেছিলাম চশমা পরে সব স্পস্ট দেখতে পাই। আমি ভুল ছিলাম। গ্রীবার পাশ দিয়ে এত লাল প্রোফাইলের বিষাক্ত ছোবল খেয়ে চশমাকে একটি ব্যার্থ ও অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা মনে হয় আজ। কিছুই স্পস্ট দেখিনি আসলে। চশমা কাজ করেনি।
ধাড়ি নূড়ার গত ১৪ দিনের আমলনামা কারো কাছে থাকলে ক্রমান্বয়ে এখানে দিয়েন। Part -5
যুদ্ধক্ষেত্রে সহযোদ্ধার ভুল-ত্রুটি হয়েছে কিনা তা ব্যারাকে ফিরে সারাদিন-রাত কপচাতে পারবেন। বলতে পারবেন যে, পরেরবার যেন এইসব বিষয় মাথায় রাখে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর আক্রমনের সামনে আপনি অংকের ক্লাস, সমালোচনার ক্লাস, উত্তর আধুনিক কবিতার ক্লাস কিংবা এই বিষয়ে ভলতেয়ার বা কাফকা কি বলেছে সে জ্ঞানটুকু আপনার পেছন প্রদেশে ভ’রে রাখুন। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যারেলে রশদ ভরে এগিয়ে যাওয়া আমার কাজ। আপনার লেকচার শুনবার টাইম নাই।
ধাড়ি নূড়ার গত ১৪ দিনের আমলনামা কারো কাছে থাকলে ক্রমান্বয়ে এখানে দিয়েন। Part -6
লাল রঙের প্রোফাইল ছবি মালিকদের আনফ্রেন্ড করতে করতে একটা ছোট ব্যাথাবোধও হলো। এদের বেশিরভাগই প্রগতিশীল ভাবনার সাথী ছিলো আমার। অন্তত, আমি সেরকমটাই ভাবতাম। আমাদের ভেতর চিন্তার এত পার্থক্য ছিলো তাতে কিছু যায় আসেনা হয়ত। পার্থক্য থাকে বলেই আলাপ হয়। নতুন চিন্তার শুরু হয়। কিন্তু আমি তাদের ভেতর যে লুকোনো ‘র্যাথ (wrath)’ দেখেছি এটি ছিলো বিষ্ময়কর। আমাদের সমাজটা স্পস্টত দুইভাগে ভাগ হয়ে গেলো। ভালোই হলো। আইদার তুমি এই পক্ষে, নাহলে ওই পক্ষে। আজ মাঝামাঝি বলে কিছু নেই।
#আমি_জয়_বাংলার_লোক
#শেখহাসিনাতেই_আস্থা
ধাড়ি নূড়ার গত ১৪ দিনের আমলনামা কারো কাছে থাকলে ক্রমান্বয়ে এখানে দিয়েন। Part -7
কোটার কথা বলে কি সন্তর্পণে এসেছিলো ওরা! আমরা ভেবেছিলাম নিরীহ শিক্ষার্থী। অথচ সংগঠকরা শুরুতেই জানতো তার একটা পর্যায়ে এক দফাতে যাবে।
আমাকে আমার সূত্ররা বারবার বলছিলো, ‘ভাই ওরা দুই মিনিট পর পর কথা চেঞ্জ করে। দফা চেঞ্জ করে। এক মিনিট আগে এক কথা, এক মিনিট পরে আরেক কথা।’
আমি শুনেছি নওফেল ভাই শুরুতেই ওদের আশ্বাস দিয়েছিলো। বুঝিয়েছিলো। কিন্তু উনি চলে যেতেই অন্য দাবী। আবার কেউ এসে বুঝালে সাথে সাথে মাথা নাড়ায় রাজী হয়ে। চলে গেলেই দাবী চেইঞ্জ।
এই পুরো পরিস্থিতির মাস্টার প্ল্যান যারা করেছিলো তারা কয়েকমাস আগ থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। তাই তাদের প্রম্পট অস্ত্র, মহড়া দেখে পরিষ্কার বুঝতে পারা যায়।
মাঝখানে ব্যবহার করেছে নিরীহ শিক্ষার্থীদের যারা এদের বিশ্বাস করে এসেছিলো।
এটা এখন যুদ্ধ। হয় তোমরা জামাত শিবির বি এনপি। নাইলে আমরা। মাঝে কিছু নাই।